
লেখক ও গবেষক

বাউল শিল্পী মহারাজা আবুল সরকারকে সম্প্রতি ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ—তিনি আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। বাস্তবতা হলো, চার ঘণ্টার দীর্ঘ একটি পালাগান থেকে মাত্র ত্রিশ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ কেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফিদেল কাস্ত্রোর গড়া সেই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে। আজ ২৫ নভেম্বর, তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাই প্রশ্ন জাগে—কীভাবে একটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র আমেরিকার কঠোর অবরোধের মধ্যেও নিশ্চিত করল যে কোনো মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা যাবে না? কীভাবে সম্ভব হলো নামমাত্র মূল্যে রেশন, যা ২০০–২৫০ টাকার সমান খরচে এক মাস টিকে থাকার গ্য

একটি স্মার্টফোন, ইন্টারনেট কানেকশন—২০২৫ সালের বাংলাদেশে কারো জীবন ধ্বংস করতে মনে হয় এটুকুই যথেষ্ট। মাদারীপুরের বাউল আবুল সরকারের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি আপাতদৃষ্টিতে ‘ধর্মীয় অনুভূতি’র মনে হলেও, এর পেছনের কারিগর মূলত ‘প্রযুক্তিগত দুর্বৃত্তায়ন’।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হলেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হলেন, প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী যিনি ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেলেন আবার তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি